ভূমিকা
ভাইরাল জ্বর আমাদের দেশে একটি সাধারণ সমস্যা। বর্ষাকাল ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যায়। তবে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে ভাইরাল জ্বর প্রতিরোধ করা সম্ভব। আজকের পোস্টে আমরা ভাইরাল জ্বর প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ভাইরাল জ্বর কী?
ভাইরাল জ্বর হলো ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট সংক্রামক জ্বর। সাধারণত সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।
ভাইরাল জ্বর প্রতিরোধে করণীয়
১. নিয়মিত হাত ধোয়া
- সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।
- বিশেষ করে খাবার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, বাইরে থেকে এলে হাত ধোয়া জরুরি।
২. বিশুদ্ধ পানি পান করুন
- ফুটানো বা ফিল্টার করা পানি পান করুন।
- অপরিষ্কার পানি পান থেকে বিরত থাকুন।
৩. পুষ্টিকর খাবার খান
- প্রতিদিন তাজা ফল, শাকসবজি, ডাল, মাছ, মাংস খান।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।
৪. মশার কামড় থেকে বাঁচুন
- মশারি ব্যবহার করুন।
- ঘরের আশেপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখুন।
- মশার স্প্রে বা কয়েল ব্যবহার করুন।
৫. ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখুন
- নিয়মিত ঘরবাড়ি, রান্নাঘর ও টয়লেট পরিষ্কার করুন।
- আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন।
৬. হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলুন
- হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় মুখ ও নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢাকুন।
- ব্যবহৃত টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলুন।
৭. অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন
- ভাইরাল জ্বর আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি না যাওয়া ভালো।
- প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৮. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
- শরীর দুর্বল লাগলে বিশ্রাম নিন।
- পর্যাপ্ত ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
- জ্বর ৩ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
- শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, অতিরিক্ত দুর্বলতা বা অজ্ঞান হয়ে গেলে
- শিশু, বৃদ্ধ বা গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
উপসংহার
ভাইরাল জ্বর প্রতিরোধে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ও পরিবারের সুস্থতার জন্য উপরের নিয়মগুলো মেনে চলুন। সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন!